ভারত সরকারের ডিজিটাল মিশন ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরো সহজ করবার লক্ষ্যে মূলত AePS বা Aadhaar Enabled Payment System এর আবির্ভাব ঘটে। এর ফলে পেপার টু পেপার প্রথা কে দূরে ঠেলে ডিজিটাল লেনদেন এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। এর ফলে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম যেখানে ব্যাংকিং সুবিধা সে রকম ভাবে গড়ে ওঠেনি সেখানেও মানুষ লেনদেন করতে পারছে কোনো ঝামেলা ছাড়াই। আপনার ব্যাংক যে কোনো হতে পারে কিন্তু আপনি আপনার আধার কার্ডের মাধ্যমে যে কোনো ব্যাংকের থেকে টাকা তুলতে বা জমা করতে পারেন।
কিন্তু বলে না, যে কোন ভালো কাজের ও খারাপ দিক থাকে। কিছু অসাধু মানুষ এই সিস্টেম টাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করছে। এর ফলে এত ভালো ব্যবস্থাটির থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই সেই অসাধু লোকজন ও তাদের অপরাধমূলক কাজ কারবার কে লাগাম টানতে NPCI বা National Payments Corporation of India অনেকদিন আগেই কিছু গাইডলাইন জারি করেছিল। এবং যা মানতে বাধ্য থাকবেন ব্যাংক মিত্র রা বা যারা এই সুবিধাটিকে সাধারণের কাছে উপস্থাপনা করে দু পয়সা আয় করছেন। কিন্তু, এই সব অসাধু ব্যবসায়ী তারা NPCI কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখনো তাদের অপরাধ মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এবং সেই সব অপরাধমূলক কাজ কারবার গুলোকে বন্ধ করবার জন্য NPCI করা ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর ফলে, আপনি যদি নিয়ম গুলি না মেনে চলেন, আপনি আর কোনো দিন AePS ব্যবসা করতে পারবেন না। আপনার প্যান কার্ড Aeps নেটওয়ার্ক থেকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হবে। ফলে আপনি আর কোনো ভাবেই AePS এর লাভ নিতে পারবেন না। এই বার কি সেই নিয়ম চলুন দেখে নেওয়া যাক।
- কাটা বা ভাগ করে নেওয়া লেনদেন (Split Transaction)
আমরা অনেক সময় কমিশন বেশি পাওয়ার ও ট্রানসাকশান বাড়ানোর জন্য কোনো কাস্টমারের Withdrawal ব্যালেন্স কে কেটে কেটে Withdraw করি। এটাকে স্প্লিট ট্রানসাকশান বলা হয়। যদি এই কাজটি করে থাকেন তাহলে অবিলম্বে বন্ধ করে দিন। কাস্টমার যে টাকাটা তুলতে এসেছে মানে অবশই ১০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে সেটি একেবারেই তুলুন। আর যদি, কাস্টমারের তোলবার টাকার পরিমান বেশি হয় মানে ১০ হাজারের বেশি তাহলে প্রথমে ১০ হাজার তুলুন ১ ঘন্টা পরে বাকিটা তুলুন বা ট্রানসাকশান দুটির মধ্যে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার একটা বিরতি রাখুন। এটা না করলে সিস্টেম এটাকে Suspected Fraud হিসাবে গণ্য করবে। মনে রাখবেন এই নিয়মটি শুধুমাত্র “Cash Withdrawal” এর উপর প্রযোজ্য হবে।
কি করব – যদি ক্যাশ ১০ হাজারের বেশি কাস্টমার নিতে চায় দুটি ট্রানসাকশান এর মধ্যে মিনিমাম ৩০ মিনিটের বিরতি দেব।
কি করবো না – কেটে কেটে ট্রানসাকশান করবো না। ক্যাশ এমাউন্ট ১০ হাজারের নিচে হলে সবটা একেবারেই তুলে নেব।
- চার্জ ব্যাক (Charge Back) ইস্যু
কোনো কোনো দোকানদার কাস্টমারের ব্যালেন্স ইনকোয়ারি করতে গিয়ে কাস্টমার কে কম টাকা দেখিয়ে ও কম ক্যাশ দিয়ে বাকিটা নিজে নিয়ে নেয়। বা, কোনো কাস্টমার যদি ৫০০ টাকা তুলতে আসে, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি তুলে নেয় এক্ষত্রে কাস্টমার তখন না বুঝতে পারলেও পরে তা বুঝতে পেরে ব্যাংকে গিয়ে কমপ্লেন করে বা সাইবার ক্রাইমে কমপ্লেন করে। এই রকম অভিযোগ ব্যাংকে বা সাইবার বিভাগে জমা পড়ে এবং এগুলি সব NPCI এর কাছে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবার জন্য যায়। আর একটা চার্জ ব্যাক ইস্যু তৈরী হয়। এটা অনেকাংশে দেখা গিয়েছে যে ওই চার্জ ব্যাক টাকাটা কোম্পানির (মানে আপনাকে যে AePS দিয়েছে) থেকে কেটে নেওয়া হয় বা আপনার ওয়ালেট থেকে কেটে নেওয়া হয়। তখন আপনার ব্যালেন্স মাইনাসে চলে যায়। এই ইস্যু টা যদি আপনার থেকে বার বার আসে তাহলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবার মনে করুন, আপনি কোনো খারাপ পথে যান না কিন্তু আপনি কোনো কাস্টমারের টাকা তুলতে গিয়ে Transaction Failed হল এবং কাস্টমারের ব্যাংক থেকে টাকাটা কাটা গেল আর আপনার ওয়ালেটে এল না। এটা অনেক সময় হতে পারে। সার্ভার, আপনার নেট কানেকশন, ব্যাংকের সার্ভার নানা কারণে হতে পারে। কাস্টমার ও তখন জানতে পারলনা কিন্তু পরবর্তী ব্যালেন্স ইনকোয়ারি করতে গিয়ে (অন্য দোকানদার বা ব্যাংকের কাছে) দেখতে পেল তার টাকাটা কাটা বা ডেবিট হয়ে গিয়েছে। সেই কাস্টমারটি তখন আপনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করল এবং আপনার বিরুদ্ধে চার্জ ব্যাক ইস্যু তৈরী করল।
ট্রানসাকশানটি ফেল্ড হলে আর টাকাটা আপনার ওয়ালেটে না এলে এটা অটোমেটিক কাস্টমারের ডেবিট একাউন্টে রিফান্ড চলে যাবে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে, আপনাকে আপনার দোকানে NPCI দ্বারা একটি নোটিস লাগিয়ে রাখতে হবে। যাতে কাস্টমার ব্যাপারটাকে জানতে পারে এবং কমপ্লেন না করতে পারে।
aeps-noticeডাউনলোড করুন।
কি করব – আমি অবশ্যই কাস্টমারের সঠিক টাকাটা তুলব এবং নির্দিষ্ট টাকাটা হ্যান্ডওভার করবো। এবং বকেয়া রাশিটি তাকে জানিয়ে দেব বা প্রয়োজন হলে রিসিপ্ট দেব। এবং কাস্টমার সন্তুষ্টির জন্য আমার দোকান একটি NPCI দ্বারা নোটিস লাগিয়ে রাখবো।
কি করবো না – কাস্টমারের থেকে কখনোই উল্টো পাল্টা চার্জ করবো না।
- রেজিস্টার খাতা
আমাদের অবশই একটি রেজিস্টার খাতা করতে হবে এবং সেই খাতায় কাস্টমারের ডিটেলস রাখতে হবে প্রমান হিসাবে যেমন কাস্টমারের নাম , তারিখ, আধারের শেষ ৪ টি নাম্বার, কত টাকা তুলেছে, কত টাকা আছে, টাকা তোলার সময়, কোন ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ও সব শেষে কাস্টমার কে দিয়ে সই করিয়ে নিতে হবে। এটি আপনার প্রমান যে আপনি কারোর সাথে বেআইনি করেননি। বা কাস্টমার যদি আপনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করে তার জন্য আপনি তথ্য প্রমান দিতে পারবেন।
aeps-ledgerDownload
কি করবো – আমি অবশ্যই রেজিস্টার খাতায় কাস্টমারের তথ্য লিখে রাখব।
কি করবো না – আমার যদি এই খাতা লেখবার সময় না থাকে আমি ব্যাংকিং AePS ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসব বা ব্যবসা ছেড়ে দেব।
- Mobile Number এন্ট্রি
টাকা তোলবার বা ব্যালান্স ইনকোয়ারি করবার সময় একটা অপসন দেওয়া থাকে কাস্টমারের ফোন নাম্বার দেওয়ার জন্য। এই কলামে যদি আপনার বা একই মোবাইল নাম্বার বার বার দিতে থাকেন তাহলে সিস্টেম আপনাকে ফ্রড করছেন এটা ভাবতে শুরু করবে। চেষ্টা করবেন কাস্টমারের ফোন নাম্বার দেবার অথবা কাস্টমারের ফোন না থাকলে ওনার পরিচিত ফেমিলির মধ্যে থেকে কারোর ফোন নাম্বার দেওয়ার।
কি করবো – আমি অবশ্যই কাস্টমারের অথবা ওনার পরিচিত কারোর কাস্টমারের দেওয়া ফোন নাম্বার ই শুধু দেব।
কি করবো না – আমি কোনোভাবে ভুলভাল নাম্বার যেমন যে কোনো Random ডিজিট বা আমার নিজের নাম্বার দেব না ।
- এজেন্টের এলাকা
আপনি যে এলাকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন শুধু মাত্র সেই এলাকাতেই কাজ করতে পারবেন বা আপনার এলাকায় কাজ করতে পারবেন । অন্য কোন জাগায় গিয়ে কাজ করা যাবে না। কারণ আপনার লোকেশন সার্ভিস অন রেখে কাজ করতে হবে। এটা একপ্রকার নিয়ম বিরুদ্ধ।
কি করবো – আমি অবশ্যই আমার পাড়ায় / গ্রামে কাজ করব।
কি করবো না – আমার আইডি আমি অন্য কারোকে দেব না বা আমার এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকাতে যাবো না।
- সঠিক রাশিতে টাকা তোলা
অনেক সময় কাস্টমার টাকা সাথে করে নিয়ে না আসলে বা আপনার কাছে খুচরা না থাকলে কাস্টমারের একাউন্টে থেকে সেই টাকাটা তুলে থাকি যেমন কেউ ১০০০ টাকা তুলতে এলে ১০১০ টাকা। মনে রাখবেন কোম্পানি থেকে এর জন্য কিছু কমিশন আমাদের পে করে থাকে। অতিরিক্ত টাকা তোলা যাবে না বা রাউন্ড ফিগারে টাকা তুলতে হবে । যেমন ১০০০, ২০০০, ২৫০০, ২১০০ এইরকম ১০০ এর গুণিতক হিসাবে। এটা যদি না করেন আপনি কাস্টমারের সাথে ফ্রড করছেন এমনটা ধরে নেওয়া হবে। যদি আপনার কোম্পানির দেওয়া কমিশনে সন্তুষ্ট না হন কাস্টমার কে বলবেন, ওনারা বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খুশি হয়ে যেটা দেবে সেটা নিতে হবে। মনে রাখবে কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ যা কাস্টমার দিতে পারবে না সেটা কোনভাবেই করা যাবে না। কমপ্লেন হলে কাস্টমাররের ইস্যুটা আগে দেখা হবে।
কি করবো – আমি অবশ্যই সঠিক রাশির টাকা যেমন ১০০, ১০০০, ৫০০, ৩০০ এই রকম ১০০ এর গুণিতকে তুলবো।
কি করবো না – আমি কখনোই কাস্টমারের থেকে অতিরিক্ত চার্জ করবো না।
- বার বার বায়োমেট্রিক নেওয়া
কাস্টমারের টাকা তোলবার সময় বা কোনো ট্রানসাকশান করবার সময় হাতের ছাপ না নিলে, কাস্টমারে আঙ্গুল পরিষ্কার করুন ভালো করে। প্রয়োজনে জল বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যখন তার পর ও বায়োমেট্রিক নেবে না তখন কাস্টমারকে বলুন আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক আপডেট করবার জন্য। কোন ভাবেই বার বার তার আঙুলের ছাপ নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আপনার সেন্টারে আইরিশ স্ক্যানার রাখতে পারেন। এটি ফিঙ্গারের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ভাবে কাজ করে।
কি করবো – দুই বারের বেশি আঙুলের ছাপ না নিলে কাস্টমারে কে আধারে আঙুলের ছাপ আপডেট করবার পরামর্শ দেব।
কি করবো না – বার বার হাতের ছাপ নেওয়ার জন্য বলবো না। দুই বারের বেশি হয় পরের দিন কাস্টমারকে আসতে বলবো।
উপরের দেওয়া নিয়ম গুলি মেনে চলুন তাহলে আর ভবিষ্যতে আর প্রব্লেম এর মধ্যে পড়তে হবে না। এই পেজটাকে বুকমার্ক করে রাখুন যাতে পরবর্তী আপডেট এখান থেকে পেতে পারেন । আর যদি কিছু আর বেশি জানতে চান নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। আপনাদের প্রশ্নের উত
BUSINESS
NPCI কর্তৃক AEPS ব্যাবসায়ীদের গাইডলাইন, না মানলেই ব্যান
14 February, 2023 ·Arohee ·0 Comments
ভারত সরকারের ডিজিটাল মিশন ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরো সহজ করবার লক্ষ্যে মূলত AePS বা Aadhaar Enabled Payment System এর আবির্ভাব ঘটে। এর ফলে পেপার টু পেপার প্রথা কে দূরে ঠেলে ডিজিটাল লেনদেন এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। এর ফলে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম যেখানে ব্যাংকিং সুবিধা সে রকম ভাবে গড়ে ওঠেনি সেখানেও মানুষ লেনদেন করতে পারছে কোনো ঝামেলা ছাড়াই। আপনার ব্যাংক যে কোনো হতে পারে কিন্তু আপনি আপনার আধার কার্ডের মাধ্যমে যে কোনো ব্যাংকের থেকে টাকা তুলতে বা জমা করতে পারেন।
কিন্তু বলে না, যে কোন ভালো কাজের ও খারাপ দিক থাকে। কিছু অসাধু মানুষ এই সিস্টেম টাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করছে। এর ফলে এত ভালো ব্যবস্থাটির থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই সেই অসাধু লোকজন ও তাদের অপরাধমূলক কাজ কারবার কে লাগাম টানতে NPCI বা National Payments Corporation of India অনেকদিন আগেই কিছু গাইডলাইন জারি করেছিল। এবং যা মানতে বাধ্য থাকবেন ব্যাংক মিত্র রা বা যারা এই সুবিধাটিকে সাধারণের কাছে উপস্থাপনা করে দু পয়সা আয় করছেন। কিন্তু, এই সব অসাধু ব্যবসায়ী তারা NPCI কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখনো তাদের অপরাধ মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এবং সেই সব অপরাধমূলক কাজ কারবার গুলোকে বন্ধ করবার জন্য NPCI করা ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর ফলে, আপনি যদি নিয়ম গুলি না মেনে চলেন, আপনি আর কোনো দিন AePS ব্যবসা করতে পারবেন না। আপনার প্যান কার্ড Aeps নেটওয়ার্ক থেকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হবে। ফলে আপনি আর কোনো ভাবেই AePS এর লাভ নিতে পারবেন না। এই বার কি সেই নিয়ম চলুন দেখে নেওয়া যাক।
- কাটা বা ভাগ করে নেওয়া লেনদেন (Split Transaction)
আমরা অনেক সময় কমিশন বেশি পাওয়ার ও ট্রানসাকশান বাড়ানোর জন্য কোনো কাস্টমারের Withdrawal ব্যালেন্স কে কেটে কেটে Withdraw করি। এটাকে স্প্লিট ট্রানসাকশান বলা হয়। যদি এই কাজটি করে থাকেন তাহলে অবিলম্বে বন্ধ করে দিন। কাস্টমার যে টাকাটা তুলতে এসেছে মানে অবশই ১০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে সেটি একেবারেই তুলুন। আর যদি, কাস্টমারের তোলবার টাকার পরিমান বেশি হয় মানে ১০ হাজারের বেশি তাহলে প্রথমে ১০ হাজার তুলুন ১ ঘন্টা পরে বাকিটা তুলুন বা ট্রানসাকশান দুটির মধ্যে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার একটা বিরতি রাখুন। এটা না করলে সিস্টেম এটাকে Suspected Fraud হিসাবে গণ্য করবে। মনে রাখবেন এই নিয়মটি শুধুমাত্র “Cash Withdrawal” এর উপর প্রযোজ্য হবে।
কি করব – যদি ক্যাশ ১০ হাজারের বেশি কাস্টমার নিতে চায় দুটি ট্রানসাকশান এর মধ্যে মিনিমাম ৩০ মিনিটের বিরতি দেব।
কি করবো না – কেটে কেটে ট্রানসাকশান করবো না। ক্যাশ এমাউন্ট ১০ হাজারের নিচে হলে সবটা একেবারেই তুলে নেব।
- চার্জ ব্যাক (Charge Back) ইস্যু
কোনো কোনো দোকানদার কাস্টমারের ব্যালেন্স ইনকোয়ারি করতে গিয়ে কাস্টমার কে কম টাকা দেখিয়ে ও কম ক্যাশ দিয়ে বাকিটা নিজে নিয়ে নেয়। বা, কোনো কাস্টমার যদি ৫০০ টাকা তুলতে আসে, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি তুলে নেয় এক্ষত্রে কাস্টমার তখন না বুঝতে পারলেও পরে তা বুঝতে পেরে ব্যাংকে গিয়ে কমপ্লেন করে বা সাইবার ক্রাইমে কমপ্লেন করে। এই রকম অভিযোগ ব্যাংকে বা সাইবার বিভাগে জমা পড়ে এবং এগুলি সব NPCI এর কাছে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবার জন্য যায়। আর একটা চার্জ ব্যাক ইস্যু তৈরী হয়। এটা অনেকাংশে দেখা গিয়েছে যে ওই চার্জ ব্যাক টাকাটা কোম্পানির (মানে আপনাকে যে AePS দিয়েছে) থেকে কেটে নেওয়া হয় বা আপনার ওয়ালেট থেকে কেটে নেওয়া হয়। তখন আপনার ব্যালেন্স মাইনাসে চলে যায়। এই ইস্যু টা যদি আপনার থেকে বার বার আসে তাহলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবার মনে করুন, আপনি কোনো খারাপ পথে যান না কিন্তু আপনি কোনো কাস্টমারের টাকা তুলতে গিয়ে Transaction Failed হল এবং কাস্টমারের ব্যাংক থেকে টাকাটা কাটা গেল আর আপনার ওয়ালেটে এল না। এটা অনেক সময় হতে পারে। সার্ভার, আপনার নেট কানেকশন, ব্যাংকের সার্ভার নানা কারণে হতে পারে। কাস্টমার ও তখন জানতে পারলনা কিন্তু পরবর্তী ব্যালেন্স ইনকোয়ারি করতে গিয়ে (অন্য দোকানদার বা ব্যাংকের কাছে) দেখতে পেল তার টাকাটা কাটা বা ডেবিট হয়ে গিয়েছে। সেই কাস্টমারটি তখন আপনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করল এবং আপনার বিরুদ্ধে চার্জ ব্যাক ইস্যু তৈরী করল।
ট্রানসাকশানটি ফেল্ড হলে আর টাকাটা আপনার ওয়ালেটে না এলে এটা অটোমেটিক কাস্টমারের ডেবিট একাউন্টে রিফান্ড চলে যাবে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে, আপনাকে আপনার দোকানে NPCI দ্বারা একটি নোটিস লাগিয়ে রাখতে হবে। যাতে কাস্টমার ব্যাপারটাকে জানতে পারে এবং কমপ্লেন না করতে পারে।
aeps-noticeডাউনলোড করুন।
কি করব – আমি অবশ্যই কাস্টমারের সঠিক টাকাটা তুলব এবং নির্দিষ্ট টাকাটা হ্যান্ডওভার করবো। এবং বকেয়া রাশিটি তাকে জানিয়ে দেব বা প্রয়োজন হলে রিসিপ্ট দেব। এবং কাস্টমার সন্তুষ্টির জন্য আমার দোকান একটি NPCI দ্বারা নোটিস লাগিয়ে রাখবো।
কি করবো না – কাস্টমারের থেকে কখনোই উল্টো পাল্টা চার্জ করবো না।
- রেজিস্টার খাতা
আমাদের অবশই একটি রেজিস্টার খাতা করতে হবে এবং সেই খাতায় কাস্টমারের ডিটেলস রাখতে হবে প্রমান হিসাবে যেমন কাস্টমারের নাম , তারিখ, আধারের শেষ ৪ টি নাম্বার, কত টাকা তুলেছে, কত টাকা আছে, টাকা তোলার সময়, কোন ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ও সব শেষে কাস্টমার কে দিয়ে সই করিয়ে নিতে হবে। এটি আপনার প্রমান যে আপনি কারোর সাথে বেআইনি করেননি। বা কাস্টমার যদি আপনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করে তার জন্য আপনি তথ্য প্রমান দিতে পারবেন।
aeps-ledgerDownload
কি করবো – আমি অবশ্যই রেজিস্টার খাতায় কাস্টমারের তথ্য লিখে রাখব।
কি করবো না – আমার যদি এই খাতা লেখবার সময় না থাকে আমি ব্যাংকিং AePS ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসব বা ব্যবসা ছেড়ে দেব।
- Mobile Number এন্ট্রি
টাকা তোলবার বা ব্যালান্স ইনকোয়ারি করবার সময় একটা অপসন দেওয়া থাকে কাস্টমারের ফোন নাম্বার দেওয়ার জন্য। এই কলামে যদি আপনার বা একই মোবাইল নাম্বার বার বার দিতে থাকেন তাহলে সিস্টেম আপনাকে ফ্রড করছেন এটা ভাবতে শুরু করবে। চেষ্টা করবেন কাস্টমারের ফোন নাম্বার দেবার অথবা কাস্টমারের ফোন না থাকলে ওনার পরিচিত ফেমিলির মধ্যে থেকে কারোর ফোন নাম্বার দেওয়ার।
কি করবো – আমি অবশ্যই কাস্টমারের অথবা ওনার পরিচিত কারোর কাস্টমারের দেওয়া ফোন নাম্বার ই শুধু দেব।
কি করবো না – আমি কোনোভাবে ভুলভাল নাম্বার যেমন যে কোনো Random ডিজিট বা আমার নিজের নাম্বার দেব না ।
- এজেন্টের এলাকা
আপনি যে এলাকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন শুধু মাত্র সেই এলাকাতেই কাজ করতে পারবেন বা আপনার এলাকায় কাজ করতে পারবেন । অন্য কোন জাগায় গিয়ে কাজ করা যাবে না। কারণ আপনার লোকেশন সার্ভিস অন রেখে কাজ করতে হবে। এটা একপ্রকার নিয়ম বিরুদ্ধ।
কি করবো – আমি অবশ্যই আমার পাড়ায় / গ্রামে কাজ করব।
কি করবো না – আমার আইডি আমি অন্য কারোকে দেব না বা আমার এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকাতে যাবো না।
- সঠিক রাশিতে টাকা তোলা
অনেক সময় কাস্টমার টাকা সাথে করে নিয়ে না আসলে বা আপনার কাছে খুচরা না থাকলে কাস্টমারের একাউন্টে থেকে সেই টাকাটা তুলে থাকি যেমন কেউ ১০০০ টাকা তুলতে এলে ১০১০ টাকা। মনে রাখবেন কোম্পানি থেকে এর জন্য কিছু কমিশন আমাদের পে করে থাকে। অতিরিক্ত টাকা তোলা যাবে না বা রাউন্ড ফিগারে টাকা তুলতে হবে । যেমন ১০০০, ২০০০, ২৫০০, ২১০০ এইরকম ১০০ এর গুণিতক হিসাবে। এটা যদি না করেন আপনি কাস্টমারের সাথে ফ্রড করছেন এমনটা ধরে নেওয়া হবে। যদি আপনার কোম্পানির দেওয়া কমিশনে সন্তুষ্ট না হন কাস্টমার কে বলবেন, ওনারা বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খুশি হয়ে যেটা দেবে সেটা নিতে হবে। মনে রাখবে কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ যা কাস্টমার দিতে পারবে না সেটা কোনভাবেই করা যাবে না। কমপ্লেন হলে কাস্টমাররের ইস্যুটা আগে দেখা হবে।
কি করবো – আমি অবশ্যই সঠিক রাশির টাকা যেমন ১০০, ১০০০, ৫০০, ৩০০ এই রকম ১০০ এর গুণিতকে তুলবো।
কি করবো না – আমি কখনোই কাস্টমারের থেকে অতিরিক্ত চার্জ করবো না।
- বার বার বায়োমেট্রিক নেওয়া
কাস্টমারের টাকা তোলবার সময় বা কোনো ট্রানসাকশান করবার সময় হাতের ছাপ না নিলে, কাস্টমারে আঙ্গুল পরিষ্কার করুন ভালো করে। প্রয়োজনে জল বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যখন তার পর ও বায়োমেট্রিক নেবে না তখন কাস্টমারকে বলুন আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক আপডেট করবার জন্য। কোন ভাবেই বার বার তার আঙুলের ছাপ নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আপনার সেন্টারে আইরিশ স্ক্যানার রাখতে পারেন। এটি ফিঙ্গারের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ভাবে কাজ করে।
কি করবো – দুই বারের বেশি আঙুলের ছাপ না নিলে কাস্টমারে কে আধারে আঙুলের ছাপ আপডেট করবার পরামর্শ দেব।
কি করবো না – বার বার হাতের ছাপ নেওয়ার জন্য বলবো না। দুই বারের বেশি হয় পরের দিন কাস্টমারকে আসতে বলবো।
উপরের দেওয়া নিয়ম গুলি মেনে চলুন তাহলে আর ভবিষ্যতে আর প্রব্লেম এর মধ্যে পড়তে হবে না।



Leave a Reply